বান্দরবানের দোপানিছড়াপাড়া এলাকার সুংসুংপাড়া থেকে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ এর নয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে। সকালে বান্দরবান রিজিয়নের সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে একটি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করে।
এসময় অভিযান চালিয়ে ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন এবং ২টি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।
বিকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে চলমান যৌথ অভিযানে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কেএনএফের ৯ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ৯ টি দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী।
জানা গেছে, দুর্গম দোপানিছড়াপাড়া এলাকায় সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে একটি টহল দল সাড়াশি অভিযান চালায়। অভিযানে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থান খবর পেয়ে এলাকাটি ঘেরাও করে যৌথ বাহিনী। এসময় সশস্ত্র সন্ত্রাসী কুকি-চিন ন্যশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ ৯ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও টহল দল অনুসন্ধান চালিয়ে ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন এবং ২ টি আইডি কার্ড উদ্ধার করে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান জানান, দুর্গম এলাকায় পাহাড়ের অভিযান চালিয়ে কেএনএফ নয়জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় ৯টি অস্ত্রসহ গোলাবারুদ। অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে রুমা ও থানচি দুই উপজেলার ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, অস্ত্র-টাকা লুটের ঘটনায় যৌথ অভিযানে আটক ৫৭ জন কুকি-চিন সদস্য এবং ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহার করা গাড়ির চালকসহ মোট ৫৮ জনকে কারাগারে পাঠায় আদালত। রুমা-থানচির এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৬২ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।